কমিউনিটিনিউজ ডেস্ক: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও হত্যার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে কাজ করার জন্য লোকবল চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডা হাইকমিশন বাংলাদেশ। এ পদের জন্য যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যে কোনো বাংলাদেশি আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা দূতাবাসের বৈদেশিক নীতি ও কূটনীতি বিভাগ (এফপিডিএস) এ নিয়োগ দেবে। একটি শূন্যপদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। এ পদে আবেদন করা যাবে আগামী ৭ মে পর্যন্ত। এ পদে চাকরি পেলে সপ্তাহে ৩৭ দশমিক ৫ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুন
কানাডায় শিক্ষার্থীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ
কানাডায় সংকটে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
পদের নাম: ‘রাজনৈতিক উপদেষ্টা-রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট’।
বেতনসীমা: বছরে ১৫ লাখ ১৯ হাজার ৬২৫ টাকা।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলাদেশের সরকারি স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি।
ভাষাজ্ঞান: বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা ও কথা বলায় পারদর্শী। প্রয়োজন হলে ইংরেজি জ্ঞানসংক্রান্ত লিখিত পরীক্ষা হতে পারে।
অভিজ্ঞতা: সরকারি সংস্থা, গবেষণা সংস্থা, থিঙ্কট্যাংক, কূটনৈতিক মিশন বা আন্তর্জাতিক সংস্থায় রাজনৈতিক অথবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করার জন্য কমপক্ষে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। গবেষণা এবং বিশ্লেষণ পরিচালনা, প্রতিবেদন তৈরি এবং পরিচালনার পরামর্শ প্রদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্যানেল আলোচনা এবং সম্মেলনে ব্যক্তিগতভাবে এবং কার্যত (অনলাইন) সম্মেলনের মতো ইভেন্টগুলো আয়োজনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতে হবে।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ
প্রত্যায়ন নিয়ে ধান কাটতে এলাকা ছাড়ছেন বাঘার ২০ হাজার শ্রমিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা (রাজশাহী): গত মৌসুমের ন্যায় রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে চলতি মৌসুমেও ধান কাটতে এলাকা ছাড়ছেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। চলতি সপ্তাহ থেকে শ্রমিকরা এলাকার বাইরে ধান কাটতে যাওয়া শুরু করেছেন। করোনা ভাইরাস জনিত কারণে সরকারের নির্দেশনা মেনে ধান কাটতে এলাকার বাইরে যাচ্ছেন এই শ্রমিকরা।
- উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে জানা যায়, ৬ হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যে আবেদন করে প্রত্যায়নপত্র নিয়েছেন। করেছেন। এসব শ্রমিকরা ধান কাটতে নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাচ্ছেন। শ্রমিকরা ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহনে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ছাতারি গ্রামের শ্রমিক দলনেতা হাফিজুল ইসলাম জানান, এসময় এলাকায় তেমন কোন কাজ থাকেনা। প্রায় দুই মাস বেকার অবস্থায় থাকতে হয়। তাই সংসার চালাতে গিয়ে অনেকে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই ধান কাটার এই মৌসুমে খাদ্য সংগ্রহের জন্য এলাকার বাইওে যায়। তবে একেক জন শ্রমিক ২০-২৫ মণ ধান নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এই ধান খাদ্যের অভাব দুর করে এবং দেনা পাওনা শোধ করা হয়। গত মৌসুমে যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকায় চুক্তিভিত্তিক গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলাম। আবার অনেকে বাইসাইকেল ও ভ্যান নিয়ে গিয়েছিল।
বাঘায় পৃথক সন্ত্রাসীর হামলায় ২ যুবলীগ নেতা আহত
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ধান উৎপাদিত এলাকায় প্রতিবছর এ সময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশক্রমে করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রত্যায়নপত্র দিয়ে শ্রমিক পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও আমার যৌথ স্বাক্ষরে প্রত্যয়নপত্র (অনুমতি) দেওয়া হচ্ছে। তবে এরমধ্যে কেহ যদি করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে নিজ এলাকায় ফিরে আসে, তাদের নমুনা পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, যেহেতু শ্রমিকরা এক দলে কাজ করবে। সেজন্য নিজেদের সাবধনতা অবলম্বন করে দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশি বেশি পানি পান ও ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রত্যায়ন পত্র দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে থেকে গ্রুপ ভিত্তিক আবেদন করে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছেন শ্রমিকরা। গত মৌসিুমে গ্রুপ ভিত্তিক আবেদন করে উপজেলা থেকে প্রায় ১৫/২০ জনের একেকটি দল ধান কাটতে গিয়েছিল প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক। চলতি মৌসুমেও ২০ হাজার শ্রমিক পর্যায়ক্রমে ধান কাটতে যাওয়ার জন্য এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ