নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দু উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন থাকলেও একটি ইউনিয়নের নির্বাচন শেষ মুহুর্তে স্থগিত হয়েছে।
গোদাগাড়ীতে ইউনিয়ন ৯টি। আর তানোরে ইউনিয়নের সংখ্যা ৭টি। এই ১৬টি ইউনিয়নে মোট ১৫৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এরমধ্যে গোদাগাড়ীতে ৯৫টি এবং তানোরে কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৮।
দুই উপজেলার প্রায় অর্ধেক ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। গোদাগাড়ীর ৩৫টি এবং তানোরের ৪৩টি মিলে মোট ৭৮টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
দুই উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হবে। দুই উপজেলার মধ্যে শুধু গোদাগাড়ী সদর ইউনিয়নে ভোট হবে ইভিএমে। বাকি সবগুলো ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হবে ব্যালটে।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে কেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত থাকবেন ২০ জনের ফোর্স। নির্বাচনী অপরাধের বিচারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন।
তানোরের ৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৫ হাজার জন। ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ৩০। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬৮ ও সাধারণ সদস্য পদে ২৩৭ প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। তানোরের ৭টির মধ্যে সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে।
ইউনিয়নটিতে শেষ মূহুর্তে এসে হচ্ছে না ভোট। এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী আবদুল মালেকের প্রার্থীতায় জটিলতা থাকায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে গোদাগাড়ীর ৯টি ইউনিয়নেই ভোট হচ্ছে। গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউপির ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা কেটে গেছে।
গোদাগাড়ীর ৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩২ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০৩ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গোদাগাড়ীতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৬৯ জন।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষে ১২ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত দুই উপজেলায় যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যান (ইসির অনুমতিপ্রাপ্ত যানবাহন ব্যতীত) চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের আগ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনো মিছিল, শোভাযাত্রাও করা যাবে না।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। গোদাগাড়ীর ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। একটিতে ভোট হবে ইভিএমে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গোদাগাড়ী-তানোরের সবকটি ইউনিয়নেই ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি আছে। তানোরের সরনজাই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শেষ মূহুর্তে এসে স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
কমিউনিটি/এমএইচ