কমিউনিটিনিউজ ডেস্ক: বগুড়ায় প্রকাশ্যে মহাসড়কে মোজাফ্ফর হোসেন (৬০) নামের এক মাদরাসা অধ্যক্ষকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে শাজাহানপুরের জোড়া কৃষি কলেজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত মোজাফ্ফর হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ গ্রামের মৃত সায়েদ আলীর ছেলে।
সুকাশ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবর রহমান জানান, মোজাফফর হোসেন পেশায় কবিরাজ। তিনি একটি কওমি মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা এলাকায় বসবাস করেন।
শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোজাফফর হোসেনের সঙ্গে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাটি দেখেছেন। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, মোজাফ্ফর হোসেন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বগুড়া শহরের দিকে আসছিলেন। পথে কৃষি কলেজের সামনে মোটরসাইকেলে করে আসা একদল দুর্বৃত্ত অটোরিকশার গতিরোধ করে। এরপর তারা প্রকাশ্যে মোজাফফর হোসেনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তার বুকের বাম পাশে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ
ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসায় গেছেন হেফাজতে ইসলামের সদ্য সাবেক কমিটির মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৪ মে) রাত ৯টার পর মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে প্রবেশ করেন তারা। তবে তাৎক্ষনিকভাবে সাক্ষাতের কারণ জানাননি তারা।
তবে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানও রয়েছেন।
এর আগে, ২০ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেন হেফাজতের নেতারা। সেদিন রাত দশটার দিকে হেফাজতের অন্তত ১০ জন নেতা বৈঠকের জন্য সেখানে যান। এরপরে আরও এক দফা হেফাজত নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতে তারা সংগঠনটির নেতাদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তবে মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বরাবরই জানানো হয়েছে, সহিংসতায় যারা জড়িত ছিলেন তাদেরই কেবল গ্রেফতার করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতার জেরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতের তাণ্ডবের পর সরকার কঠোর অবস্থানে যায়। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশজুড়ে চলা গ্রেফতার অভিযানের মধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দেয় হেফাজত নেতারা।
গত ২৬ এপ্রিল রাতে জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের কমিটি ভেঙে দেয়া হয়। ওই রাতে আবার পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়ক কমিটিতে প্রধান উপদেষ্টা করা হয় আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে, আর আমিরের দায়িত্বে রাখা হয় আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ