জীবন-যাপন ডেস্ক, কমিউনিটি নিউজ
আচার খেতে পছন্দ করে অনেকেই। খাবারে রুচি বাড়াতে আচারের তুলনা নেই। কিন্তু অনেক সময় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় সারা বছর কী ভাবে আচার ভালো রাখা যায় এ নিয়ে। শীতে তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষা আসতে না আসতেই অনেকে সময় আচার নষ্ট হয়ে যায়।
টক জাতীয় ফলমূলে পানি বা বাতাসের উপস্থিতিতে ছত্রাক জন্মায়। ফলে আচারের স্বাদ নষ্ট হয়। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে দীর্ঘদিন আচার ফাঙ্গাসমুক্ত রাখা যায়। যেমন-
১. যা দিয়ে আচার বানাবেন সেগুলো ধোয়ে ভালো করে পানি ঝরিয়ে শুকাতে হবে। ভালো হয় যদি সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ রাখা যায়।
২. আচার ভালো রাখার জন্য অধিক তেল ব্যবহার করতে হবে। আচারের ওপরে তেলের একটা আস্তরণ যেন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয় তেল। এতে করে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়া টিকতে পারে না। তেল যদি কম থাকলে পরে তেল গরম করে আচারে মিশিয়ে দিতে পারেন।
৩. প্রিজারভেটিভ হিসেবে লবণ কাজ করে। লবণ স্বাদ ও গন্ধ অটুট রাখে এবং আচার সুস্বাদু করে তোলে। সঠিক মাত্রায় লবণ ব্যবহার না করার কারণে আচারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
৪. হলুদ, মেথি পাউডার ও হিং খুব ভালো প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। সোডিয়াম বেনজোয়েট অ্যাসিড ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। লবণ, চিনি, ভিনেগার, মসলার তৈরি আচার কয়েক বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।
৫. আচার সংরক্ষণ করার জন্য সবসময় কাঁচের পাত্র ব্যবহার করা উচিত। প্লাস্টিকের জারে আচার রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তবে যে পাত্রে আচার রাখবেন সেটি ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
৬. প্রতিদিন এক ঘণ্টা যদি আচারের বয়াম সূর্যের আলোয় রাখতে পারেন তাহলে ফাঙ্গাস লাগার ভয় অনেকটাই কমে যায়।
৭. ফ্রিজে আচার রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। ঠান্ডা জায়গায় ফাঙ্গাস লাগতে পারে না।