স্বাস্থ্য ডেস্ক: একদিকে উৎসবের মরসুম, অন্যদিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজের চাপ। তাই দীপাবলি, ভাইফোঁটায় উপলক্ষে বাড়িতে অল্প পরিশ্রমে খুব সহজেই তৈরি করতে পারেন চিকেন সাসলিক কাবাব। ইফতারে মুখোরোচক সব খাবার ছাড়া পেটও ভরে না আবার প্রশান্তিও মেলে না।
তাই ইফতারে প্রতিদিন সুস্বাদু সব খাবার খেতে সবাই পছন্দ করেন। কাবারের মধ্যে চিকেন সাসলিক অনেকেরই পছন্দের! সাধারণত বিভিন্ন কাবাব হাউজ বা রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাওয়া হয়ে থাকে মুখোরোচক এই খাবারটি। চাইলেই কিন্তু আপনি ইফতারের বিশেষ পদ হিসেবে খেতে পারেন চিকেন সাসলিক কাবাব।
জেনে নিন কিভাবে বানাবেন চিকেন সাসলিক কাবাব-
যা যা লাগবে
মুরগির মাংস ( কিউব করে কাটা ) ২৫০ গ্রাম
পেঁয়াজ কিউব করে কাটা ৮ টুকরা
ক্যাপসিকাম কিউব করে কাটা ১টি
টমেটো কিউব করে কাটা ১টি
গোল মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
সয়া সস ১ চা চামচ
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
লবণ পরিমান মত
জিরা বাটা আধা চা চামচ
মরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ
কাবাব মশলা ১ চা চামচ
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
যেবাবে তৈরি করবেন
- সব মশলার সাথে অল্প সরিষার তেল দিয়ে দিয়ে মাংসের টুকরাগুলো ম্যারিনেট করে রাখুন ২/৩ ঘণ্টা।
- কাবাবের কাঠিতে প্রথমে একটি মুরগীর টুকরা, ক্যাপসিকাম, ও পেঁয়াজ গাঁথুন একে একে।
- ফ্র্যাইপ্যানে অল্প সরিষার তেল গরম করে নিন।
- অল্প আঁচে সালসিকগুলোর দুই পাশ হালকা বাদামি রঙ করে ভেজে নিন।
- এর পর ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিতে হবে। দেখবেন মাংসের টুকরোগুলো ভালোমতো ভাজা হয়েছে কি-না। ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ইফতারে পরিবেশন করুন মজাদার চিকেন সাসলিক কাবাব।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ
স্বাস্থ্য ডেস্ক: অনেকেই বলেন যে, রাতে গাছের নিচে থাকতে নেই। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা- রাতে গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে। তবে কিছু উদ্ভিদ রাতেও অক্সিজেন বিলিয়ে যায়। গাছেই আয়ু কয়েক বছর বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ, পৃথিবীতে যে হাতেগোনা কয়েকটি গাছ রাতে অক্সিজেন দেয়, তার মধ্যে অশ্বত্থ হলো একটি।
আর এই ধরনের গাছ ঘরের ভেতর কিংবা বাইরে থাকলে দেহ থাকে সুস্থ। তবে ঘরের ভিতর গাছ রাখা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
জেনে নেয়া যাক এমন কয়েকটি গাছ সম্পর্কে :
অর্কিড
এর সৌন্দর্যের তুলনা নেই। বিছানার পাশে অর্কিড রাখলে ঘরের সৌন্দর্যই পালটে যায়। এই গাছ অ্যালোভেরা, স্নেক প্ল্যান্ট ও অশ্বত্থ গাছের মতো অক্সিজেনও ত্যাগ করে। ফলে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে অর্কিড।
অ্যালোভেরা
যেসব গাছ থেকে মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়, অ্যালোভেরা তার মধ্যে শীর্ষে। বাতাস সুস্থ রাখতে নাসার ভেতরে পর্যন্ত রাখা রয়েছে এই গাছ। এর কোনো পরিচর্যা দরকার হয় না। বরং এই গাছ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল অক্সিজেন তৈরি করা এবং পরিবেশ তা ছাড়া৷
নিম
নিমের গুণাগুণ অপরিসীম। এটিও বাতাস শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। নিম গাছ সাধারণত বাড়ির বাইরে থাকে। কিন্তু ভেতরেও নিম গাছ লাগানো যেতে পারে। বিশেষ করে বাড়ির মাঝখানে নিম গাছ রাখলে ফল মেলে ভালো। বাতাস শুদ্ধ করা ছাড়া পোকামাকড় দূর করতেও সাহায্য করে নিম গাছ।
স্নেক প্ল্যান্ট
অ্যালোভেরার মতোই গুণাগুণ রয়েছে এই গাছেরও। এটিও অক্সিজেন ছাড়ে আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ লাগালে উপকার পাওয়া যাবে। তাছাড়া এই গাছ দেখতেও বেশ সুন্দর। ঘরের শোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।