স্বাস্থ্য ডেস্ক, কমিউনিটি নিউজ: ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৫০ লাখ টিকা মাধ্যমে বাংলাদে বেক্সিমকোরশে আসবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে নিবন্ধন।
টিকা দেশে আসার পর বেক্সিমকোর ওয়্যারহাউজে থাকবে দু’দিন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় টিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জাতীয়ভাবে টিকাদান শুরু হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
এদিকে জানা গেছে, দেশে আসার প্রথম দফায় ৫০ লাখ টিকা দেওয়া হবে ৫০ লাখ মানুষকে। তবে টিকা দেওয়া হবেনা ১৮ বছরের নিচে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনগোষ্ঠীকে।বাকিদের চলতি বছরেই টিকা দেওয়া হবে বলে। জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী ফেজ-১ এ টিকার আওতায় থাকছেন ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী। তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবায় সরাসরি জড়িত সরকারি ৪ লাখ ৫২ হাজার ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম মাসেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই টিকা পাবেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাবে ২ লাখ ১০ হাজার।সেইসাথে যারা করোনাকালে সম্মুখসারিতে থেকে সেবাপ্রদানকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ জন এবং বাকিরা টিকা পাবেন দ্বিতীয় মাসে।
সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের মধ্যে প্রথম মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৫৭ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক সদস্য টিকা পাবেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৫০ হাজারে সদস্যদের মধ্যে প্রথমদিকে ২৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা পাবেন।
সম্মুখসারিতে থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্যসেবা দিচ্ছেন। তাই দেশের ৫০ হাজার গণমাধ্যমকর্মীর ২৫ হাজার প্রথম মাসে এবং বাকি ২৫ হাজার দ্বিতীয় মাসে টিকা পাবেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম মাসে ৮৯ হাজার ১৪৯ জন এবং দ্বিতীয় মাসে সমান সংখ্যক জনপ্রতিনিধি টিকা পাবেন।
এ ছাড়া মরদেহ সৎকারে (দাফন/শবদাহ) নিয়োজিত ব্যক্তি ৭৫ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৩৭ হাজার ৫০০ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন।
জরুরি পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহন কর্মচারী রয়েছেন ৪ লাখ। এর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে বাকি অর্ধেক টিকা পাবেন। স্থল, নৌ ও বিমান বন্দর কর্মী ১ লাখ ৫০ হাজারের মধ্যে প্রথম মাসে ৭৫ হাজার এবং দ্বিতীয় মাসে ৭৫ হাজার টিকা পাবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি ৪ লাখ কর্মচারীর মধ্যে প্রথম মাসে ২ লাখ এবং দ্বিতীয় মাসে ২ লাখ কর্মচারী টিকা পাবেন।
ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন। দ্বিতীয় মাসে তাদের টিকা দেওয়া হবে। স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠীদেরকেও প্রথম ধাপে টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়া জাতীয় দলের খেলোয়াড় (ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ইত্যাদি) ২১ হাজার ৮৬৩ জনের মধ্যে প্রথম মাসে ১০ হাজার ৯৩২ জন এবং দ্বিতীয় মাসে বাকিরা টিকা (ভ্যাকসিন) পাবেন।
বাফার, ইমার্জেন্সি ও আউটব্রেক প্রথম মাসে ৭০ হাজার, দ্বিতীয় মাসে ৫০ হাজার এবং পঞ্চম মাসে ৫০ হাজার জন টিকা পাবেন। মোট দেড় কোটি লোকের মধ্যে প্রথম মাসে ৫০ লাখ, দ্বিতীয় মাসে ৫০ লাখ এবং পঞ্চম মাসে ৫০ লাখ মানুষ টিকা পাচ্ছেন।