স্বাস্থ্য ডেস্ক
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চলতি মাসে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসছে দেশে। আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ (এবিএম) খুরশীদ আলম।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, প্রথম পর্যায়ে দেড় কোটি মানুষের জন্য আমরা তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাব। ছয় মাসে পর্যায়ক্রমে সব ভ্যাকসিন দেশে আসবে। প্রথম দফাতে ভারত থেকে ৫০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে আমরা দ্বিতীয় ডোজের জন্য আট সপ্তাহ সময় পাবো। তখন আমাদের পরবর্তী চালান চলে আসবে। সে সময় আমরা বেশি সংখ্যক লোককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম এর মতে, ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোদমে কাজ করবে। তারা ঢাকার বাইরে দেশের যেকোনও অঞ্চলে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেশে আনা হবে। প্রতি জন মানুষের দুই ডোজ করে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। একটি ডোজের ২৮ দিন পর আরেকটি ডোজ দিতে হবে। সরকার এই টিকা কিনে দিবে।
স্লাপাইয়ারের কাছ থেকে আনার খরচসহ প্রতি ডোজের দাম পড়বে ৫ ডলার। নিয়মানুযায়ী অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ সাতটি দেশ অনুমোদন দিলে সেটি যেকোনো দেশ ব্যবহার করতে পারবে। ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড এই টিকার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো কয়েকটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। যাতে দ্রুত আমাদের চাহিদা মেটানো যায়।