প্রবাস ডেস্ক: আমরা যারা প্রবাসে থাকি আমাদের সবার একটা অভিযোগ থাকে যে, আমরা দেশীয় কাপড় ঠিকমত পাই না। বিষটি নিয়ে আমি ভাবি যে, প্রবাসে থেকে আমি দেশি কাপড় নিয়ে কাজ করলে সবাই একটু খুশি হবে। সেই ভাবনা থেকেই এই ব্যবসা শুরু করি। কথাঘুলো বলছিলেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসী রোমানা মনসুর। বছর ছয়েক হলো বাস করছেন। ঘর-সংসার সামলানো আর চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনলাইনে দেশীয় কাপড় বিক্রিকে।
করোনাভাইরাস সুসময় নিয়ে এসেছে অনলাইন-ভিত্তিক পণ্য বিক্রেতাদের জন্য। আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেকে বিপণিবিতান ও বাজারে না গিয়ে অনলাইনে পণ্য কেনা বাড়িয়েছেন। হঠাৎ বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে যারা এত দিন অনলাইনে সামান্য পণ্য সরবরাহ করত, তারাও এখন সক্ষমতা বাড়িয়েছে। কেউ কেউ নতুন করে অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছে। কারও কারও দোকান বন্ধ থাকলেও বাসায় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। আর এর থেকে পিছিয়ে নেই ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
তবে শুধু কাপড়-চোপড় নয়; দেশীয় পিঠা পুলিও বিক্রি করছেন কেউ কেউ।
একজন পিঠা বিক্রেতা বলেন, এটা সম্পূর্ণ আমার শখের বসে শুরু করেছি। চিন্তা করলাম, এখানে অনেক দেশি ভাই-বোন আছেন যারা অনেকদিন দেশে যেতে পারেন না এবং দেশীয় খাবারগুলো তারা খেতে পারছেন না। তাই আমাদের দেশীয় কিছু পিঠা আমি বানানো শুরু করলাম। এখন দেখি ভালো সাড়া পাচ্ছি।আর ক্রেতারা বলেছেন, এতে তাদের সময় ও অর্থ দুটির’ই সাশ্রয় হচ্ছে।
একজন ক্রেতা বলেন, প্রবাস জীবনে আমরা সবাই ব্যস্ত থাকি। অনলাইনে কেনা-কাটার মাধ্যমে আমাদের সময় যেমন বাঁচছে, সেই সঙ্গে টাক-পয়সাও সাশ্রয় হচ্ছে। আমরা অল্প দামেই দেশি জিনিস পাচ্ছি।
দেশীয় কাপড়-চোপড় আর পিঠা পুলির পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও এখন অনলাইনে বেচাকেনা করছেন ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
ফ্রান্সে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি এখন অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যা তাদেরকে বাড়তি আয়ের পথ সুগম করে দিয়েছে। দেশীয় কাপড় আর পিঠাপুলির যে চাহিদা প্রবাসী বাংলাদেশিদের তাও মিটছে এখান থেকে।
কমিউনিটিনিউজ / এমএএইচ