প্রবাস ডেস্ক, কমিউনিটি নিউজ:
করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কানাডা সরকার দেশটির নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। সরকারের প্রণোদনার পরও নতুন করে লকডাউন জারি করায় দুই লাখের বেশি ক্ষুদ্র ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে। এতে করে বেসরকারি খাতের ৩০ লাখ কর্মী কাজ হারানোর ঝুঁকিতে আছেন।
সাম্প্রতিক কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ১২ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ওপর জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
জরিপে বলা হয়েছে, সরকার নতুন করে লকডাউন জারি করায় ১ লাখ ৮১ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন। আরও ৫৮ হাজার সক্রিয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
সিএফআইবি ন্যাশনাল জরিপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক সিমন গোডরুল্ট জানান, যত বেশি সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে, তত বেশি কর্মসংস্থান কমবে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার তত কঠিন হয়ে যাবে। অনাগত মাসগুলো কোম্পানিগুলোর জন্য কেমন হবে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানি নিয়ে করা সংস্থাটির পূর্বাভাস গত গ্রীষ্মের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির কথা ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর আগের সমীক্ষায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পূর্বাভাস দিয়েছিল সিএফআইবি।
কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বেড়েই চলেছে। যদিও সরকার কঠোরভাবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক কর্মসূচিতে নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। এরপরও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪২০ জন, এর মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ হাজার ২১৩ জন ও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৬ জন।
এবিআর/কমিউনিটি নিউজ