বাংলাদেশের উন্নতির প্রধান সোপান রেমিট্যান্স। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্সেই গড়ে ওঠা স্তম্ভে মজবুত হয়েছে বাংলাদেশে। জিডিপিতে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রেখে চলা রেমিট্যান্স হয়ে উঠেছে দেশের উন্নয়ন ও মুদ্রার রিজার্ভ স্ফীতির উল্লেখযোগ্য অংশীদার।
কিন্তু যে প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে অর্জিত অর্থ দেশে পাঠান, তাদের অনেকে দেশে ফিরে স্বজনদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হন। ওই অর্থ যাদের কাছে পাঠানো হয়, তারা নানা কারণে টাকা খরচ করে ফেলেন কিংবা অনেক প্রবাসীর পাঠানো অর্থে গড়া সম্পদ শেষ পর্যন্ত ভাগ করে নিতে হয়।
এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বিদেশ থেকে শ্রমিকদের টাকা পাঠানোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সেটি তুলে ধরা হলো:
# অন্তত দুটি হিসাব খুলে বিদেশে যাওয়া: প্রত্যেক প্রবাসীর উচিত বিদেশে যাওয়ার আগে অন্তত দুইটি ব্যাংক হিসাব খুলে যাওয়া। তার একটিতে তিনি পরিবারের ভরণপোষণের জন্য টাকা পাঠাবেন, অন্যটিতে থাকবে তার নিজের জমানো টাকা।
# শুরু থেকেই সঞ্চয়ের পরিকল্পনা: অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে, অর্থ উপার্জনের জন্য বা চাকরি নিয়ে যখন কেউ বিদেশে যাচ্ছে, সেই থেকেই তাকে পরিকল্পনা করতে হবে উপার্জিত অর্থ তিনি কীভাবে কাজে লাগাবেন।
# পারিবারিক বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন: প্রবাসীদের নিজেদের নামে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগের সুযোগ খানিকটা সীমিত। দেখা গেছে, প্রবাসীরা বরং জমি, বাড়ি ইত্যাদির পেছনে বেশি বিনিয়োগ করেন। এটা করা ভালো।
# জমি বা বাড়ির নিবন্ধনে নিজের নাম নিশ্চিত করা: বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থে প্রবাসীর ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা নিজেদের নামে জমি এবং বাড়ি রেজিস্ট্রি করে থাকেন। পরবর্তীতে প্রবাসীরা দেশে এসে মালিকানা জটিলতায় পড়েন।
# দেশে পাঠানো টাকার খরচের হিসাব রাখুন: দেশে যে টাকা-পয়সা পাঠানো হয়, অভিবাসীদের উচিত সেই টাকা কোথায়, কীভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে তার খরচ রাখা।