পুঠিয়া ( রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় চাচাতো দেবরের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননী ভাবিকে (২৬) কে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর স্বামী।
এদিকে বিষয়টি স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এক লাখ টাকার বিনিময়ে অতিগোপনে মিমাংসা করতে চাপ দিচ্ছে বলে ওই পরিবার অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ মার্চ রাতে উপজেলার পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া খাঁপাড়া গ্রামে।
থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৪ মার্চ রাতে ওই গৃহবধূর বাড়ির পাশে ইসলামী জালসা চলছিল। আর ভূক্তভোগি বাদে ওই পরিবারের সকল সদস্য জালসা শুনতে মাঠে যায়। সে সুযোগে পাশের বাড়ির চাচাতো দেবর ও সোলেমান আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব রাত ১০ টার দিকে ভাইয়ের খোঁজে তার বাড়ি আসে। আর ফাঁকা বাড়ি থাকার সুযোগে ভাবীকে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। ওই সময় গৃহবধূর চিৎকারের তার স্বামী ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রাম্য মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ঘটনার দু’দিন পর গত ১৬ মার্চ রাকিবুলকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ভূক্তভোগির স্বামী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে পুঠিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু সহ এলাকার প্রধানগণ বসে একটি মিমাংসা করতে চাপ দিচ্ছিলেন। আমরা যেহেতু থানায় মামলা দিয়েছি তাই বিষয়টি আইনী ভাবে মোকাবেলা করবো।
এদিকে আসামী রাকিবুল ইসলামের পিতা সোলেমান আলী বলেন, বিষয়টি মিমাংসা করতে চেয়ারম্যানকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তিনি দু’দিন আগে কিছু লোকজন নিয়ে প্রায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে একটা আপোষ করে দিয়েছেন।
তবে পুঠিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু মিমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আসামী ও ভূক্তভোগি একই বাড়ির লোকজন। কি ঘটনা ঘটেছে তা জানতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আমি তাদের বাড়ি গিয়ে ছিলাম। আর বিষয়টি আপোষ করতে আমি কাউকে চাপ বা হুমকি দেইনি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ মার্চ ভূক্তভোগির স্বামী বাদী হয়ে রাকিবুলের নামে মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। আর যেহেতু থানায় মামলা হয়েছে তাই মিমাংসার কোনো সুযোগ নাই।
কমিউনিটি/এমএইচ