কমিউনিটিনিউজ ডেস্ক: টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকায় লকডাউন শুরুর আগের দিন যতটুকু কমেছিল, তা আজ লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক হারিয়েছে ৬০ পয়েন্ট। ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দামের সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল ২০২১) লেনদেন শুরু হতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) বড় দরপতন দেখা দিয়েছে।
এর আগে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’-এর মধ্যে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। বিধিনিষেধ আরোপের প্রথম তিন দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় আড়াইশ পয়েন্ট বেড়ে যায়। ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার ওপরে।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার কমিশন সভা করে তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে এবং শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে এই কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি।
বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের পর রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা কড়া সমালোচনা করতে থাকেন। শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এসব বিনিয়োগকারীরা পোস্ট দেন বিএসইসির এই সিদ্ধান্তের কারণে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হবে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২২২টির। আর ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৩৫ কোটি ৫৮ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৫ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১০৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির।
কমিউনিটিনিউজ / এমএএইচ