নিজস্ব প্রতিবেদক, কমিউনিটিনিউজ: গম ও ভুট্টা উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার। এই ফসল উৎপাদন বাড়াতে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪২৩তম বোর্ড সভায় এ স্কিম অনুমোদন করা হয়। শিগগির এটি নিয়ে সার্কুলার জারি করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে এখনও গম ও ভুট্ট আমদানি করতে হয়। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম চালু করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যাতে দেশে এসব উৎপাদন করে চাহিদা মেটাতে পারে।
সূত্র জানায়, কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে গম ও ভুট্টা চাষে এ স্কিম চালু করা হয়েছে। বর্তমান সংকটের কথা মাথায় রেখে সরাসরি কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ সুদ আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে এ স্কিমের মেয়াদ শুরু হবে। স্কিমের মেয়াদ হবে তিন বছর।
প্রসঙ্গত, কভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সম্প্রতি শিল্প ও সেবা খাতের জন্য তৃতীয় পর্যায়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের তৃতীয় ও সর্বশেষ পর্যায়ের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানের (সিএমএসএমই ছাড়া) জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার ঋণ দেয়া হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষ, বেজা ও বেপজায় অবস্থিত ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ টাইপ শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং এসব অঞ্চলের বাইরে অবস্থিত শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন ও যৌথ মালিকানাধীন (দেশি ও বিদেশি) প্রতিষ্ঠানের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঋণ ও বিনিয়োগ সুবিধা পায়নি, সেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পর্যায়ে ঋণ পাবে। এ সুবিধা পাওয়ার জন্য ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের চলতি মূলধন ভিত্তিতে প্রণোদনার ঋণসীমা নির্ধারিত হবে।
এ প্যাকেজের আওতায় আগে যেসব প্রতিষ্ঠান ঋণ সুবিধা পায়নি তারা অগ্রাধিকার পাবে। যারা প্রণোদনা সুবিধা পেয়েছে, তারা অন্য কোনো ব্যাংক থেকে প্রণোদনা সুবিধা পাবে না। এ প্যাকেজের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।
কমিউনিটি/এমএইচ