26 C
Dhaka
মার্চ ২৯, ২০২৩

ব্রি উদ্ভাবিত ৮১ ও ৯২ ধানের ফলনে খুশি চাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) তাদের উদ্ভাবিত ব্রি-৮১ ও ৯২ এর উচ্চফলনশীল ধান পরীক্ষামলক ভাবে স্থানীয় ৪০ জন কৃষক-কে দুই কেজি করে প্রদান করেছিলো। স্থানীয় কৃষকরা জলেভাসা জমিতে এসব ধান চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এতে খুশি হয়েছেন তারা।

আজ বুধবার সকালে রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলার বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের রংগাছড়ির জলে ভাসা জমিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম অঞ্চলে ধানভিত্তিক খামার বিন্যাস উন্নয়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

পড়তে পারেন: জনপ্রিয় হচ্ছে জিঙ্কসমৃদ্ধ নতুন ধান ‘বঙ্গবন্ধু-১০০’

ব্রি’র মহাপরিচালক বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আর খাদ্য সংকট থাকবে না’। কারণ সরকারের অঙ্গীকার; দেশের কোথাও খাদ্য সংকট থাকবে না। সেই লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছে ব্রি।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব এদেশের মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন করা। তাঁরা সে দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করছেন। কৃষক, কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন- রাঙামাটিতে জলেভাসা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। আমরা এ জমির কিছু অংশ কাজে লাগিয়ে উচ্চফলনশীল ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের সম্পৃক্ত করছি। কেননা সরকারের ঘোষণা কোন পতিত জমি থাকবে না। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

পড়তে পারেন: নতুন ধান দুলালী সুন্দরী চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

তিনি আরও বলেন- জলেভাসা জমিতে ব্রিধান ৯২এবং ৮১অন্যতম উচ্চফলনশীল ধানের চাষ করে কৃষকরা তুলনামূলক ভাল ধান পেয়েছেন। এর আগে জলেভাসা জমিতে চাষ করার জন্য কৃষকদের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে ৭টি উপজেলায় ৪০ জন কৃষক কে দুই কেজি করে ধানের বীজ ও সার, কীটনাশক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিলো। সাধারণ ধানের চেয়ে এ ধানের উৎপাদন বহুহুণ ভাল। মাঠ দিবসে কাটা ব্রি ধান৯২ এর ফলন হয়েছে ৯.২ টন/হে.। কৃষকরা জানান, এখানে আন্ত: পরিচর্যা তেমন একটা লাগে না এবং অল্প সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়।

রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ, ব্রি, গাজীপুর এর সিএসও এবং বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ নাসিম এর সভাপতিত্বে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তপন কুমার পাল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচি পরিচালক ড. আমিনা খাতুন, ব্রির সিনিয়র লিয়াজো অফিসার এম আব্দুল মোমিনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বর্পর্ণ কর্মকর্তারা সহ স্থানীয় কৃষকরা বক্তব্য রাখেন।

এদিকে আলোচনা শুরুর আগে সুবলং ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়ি এলাকায় ফসলের জমি ঘুরে দেখেন আগত অতিথিরা এবং নমুনা শস্য কর্তন করেন।

 

কমিউনিটি/এমএইচ

আরও সংবাদ

সাগরে লঘুচাপ নিন্মচাপে পরিণত

কমিউনিটি নিউজ

সোমবারের পোল্ট্রির ডিম মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

কমিউনিটি নিউজ

সাগরে লঘুচাপের পূর্বাভাস দিল দপ্তর

কমিউনিটি নিউজ

বৃহস্পতিবারের পোল্ট্রির ডিম মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

কমিউনিটি নিউজ

বুধবারের পোল্ট্রির ডিম মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

কমিউনিটি নিউজ

মঙ্গলবারের পোল্ট্রির ডিম মুরগি ও বাচ্চার পাইকারি দাম

কমিউনিটি নিউজ