অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, কমিউনিটিনিউজ: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। ফলে দেশের গমের বাজারে প্রভাব পড়তে পারে। কমতে পারে দাম। গমের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক না থাকায় শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবেই আমদানি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা গমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বেশি দাম দিয়েই পণ্যটি আমদানি করতে হচ্ছে। এক মাস আগেও ভারত থেকে ৩০৫ ডলার মূল্যে প্রতি টন গম আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের বাজারে চাহিদা বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। এখন ৩৩২ ডলারে আমদানি করতে হচ্ছে। বর্তমানে গম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৯ টাকা ২০ পয়সায়। এক মাস আগে দাম ছিল ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে গম আমদানি বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৬০-৭০ ট্রাক গম আমদানি হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৩ টন গম আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের গম আমদানিকারক সারোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ময়দার মিলগুলোয় আগে ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানীকৃত গম দিয়ে চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু খাদ্যশস্যটির উৎপাদন কমায় দেশ দুটি এ বছর গম রফতানিতে শুল্ক আরোপ করে। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা। কিন্তু দেশে যে পরিমাণ গম উৎপাদন হয়, তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। এ কারণেই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি করা হচ্ছে। ভারতের উত্তর প্রদেশ ও বিহার রাজ্য থেকে এসব গম আসছে।
হিলি স্থলবন্দরে গম কিনতে আসা পাইকার ইসরাফিল আলম বলেন, দেশের বাজারে গমের সরবরাহ নেই বললেই চলে। এ কারণে আমদানি বাড়ানো হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে যে দামে বন্দর থেকে গম কিনেছি, তার চেয়ে কেজিপ্রতি ১০-২০ পয়সা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তার পরও বাড়তি চাহিদা থাকায় গম কিনতে এসেছি।
হিলি স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিক মেহেদুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে গম আমদানি শুরু হওয়ায় আগের তুলনায় কাজ বেড়েছে, আমাদের আয়ও বেড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, বন্দর দিয়ে বর্তমানে ভারত থেকে প্রচুর গম আমদানি হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন বন্দর দিয়ে ৬০-৭০ ট্রাক গম আমদানি হচ্ছে। তবে গমের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক না থাকায় শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবেই আমদানি হচ্ছে।
কমিউনিটি/এমএইচ