কমিউনিটিনিউজ ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি ঘোষণা করেছে । তবে এ বছর দেশটির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চার না পাঁচদিন ছুটি পাচ্ছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুসারে, এবার সেখানে ঈদুল ফিতরের ছুটি থাকবে ২৯ রমজান থেকে ৩ শাওয়াল পর্যন্ত।
এ বছর রমজান যদি ২৯ দিনে শেষ হয়, তাহলে চারদিন ছুটি পাবেন আমিরাতিরা। আর যদি রমজান ৩০ দিনে শেষ হয়, তাহলে ছুটি হবে পাঁচদিন।
আরো পড়ুন: প্রবাসীর আহাজারি পোস্ট
সেই হিসাবে, ১৩ এপ্রিল আমিরাতে রোজা শুরু হওয়ায় ঈদের ছুটি শুরু হবে ১১ মে থেকে। সেক্ষেত্রে রোজা ২৯টি হলে ছুটি থাকবে ১৪ মে পর্যন্ত আর রোজা ৩০টি হলে ছুটি থাকবে ১৫ মে পর্যন্ত।
আরো পড়ুন: বেচা-কেনায় জনপ্রিয় বাংলাদেশি প্রবাসীরা
ইসলামী ক্যালেন্ডারে সব কয়টি মাসই ২৯ বা ৩০ দিনের হয়ে থাকে। রমজান মাসের শেষে আসে পবিত্র শাওয়াল মাস। এর শুরুর দিন ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন মুসলিমরা।
আরো পড়ুন: সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে গত ১৩ এপ্রিল থেকে। সেখানে এ বছর ১৪ ঘণ্টার বেশি সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
আরো পড়ুন:আইসিএসআইডি প্যানেলে তিন বাংলাদেশির মনোনয়ন
ইসলামী ক্যালেন্ডারে নবম মাস রমজান। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের মতো এর দিন-মাস আগে থেকেই নির্ধারিত নয়। ইসলামী ক্যালেন্ডারে মাসের শুরু বা শেষ হয় চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ
প্রবাসীর আহাজারি পোস্ট
প্রবাস ডেস্ক: প্রবাস জীবন আকর্ষণীয় হলেও পেছনে থাকে অন্যকিছু। কেউ হয়তো কর্মজীবনের কিছু সময়ের জন্য প্রবাসী হন, আবার কেউ সারা জীবন কাটাতে। এ জীবন কারো জন্য সুখের, কারো জন্য দুঃখের। দেশ থেকে মানুষ বিদেশ যায় দেশের মানুষগুলোকে ভালো ও আনন্দে রাখার জন্য। দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর ক্ষেত্রেও প্রবাসীদের ভূমিকা কম নয়।
আরো পড়ুন:>>দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের প্রতি প্রবাসীদের অনুরোধ <<
প্রবাসের কর্মজীবিরা মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানকে ভালো রাখার জন্যই রাত-দিন পরিশ্রম করে থাকেন। তাই প্রবাসের জীবন একটু ভিন্ন।
আরো পড়ুন:>>প্রবাসীদের জন্য চলবে বিশেষ ফ্লাইট <<
যদি কারো বাবা বা কারো মা অথবা আত্মীয়-স্বজন মারা কেমন লাগবে প্রবাসীর। হয়তো অনেকের ঘটেছে। এমনি এক প্র্রবাসীর জীবনে এমন ঘটনাও ঘটেছে।
কমিউনিটিনিউজ পাঠকদের জন্য হবহু তুলে ধরা হলো:
“আনুমানিক ভোর ৫টা হবে। এত ভোরে কে কাঁদে? এই কান্না আমার খুব পরিচিত মনে হয়। কোথা থেকে এ কান্নার শব্দ আসছে? ডানে-বাঁয়ে কান খাড়া করে ভালোমতো শোনার চেষ্টা করেও কান্নার সঠিক ঠিকানা খুঁজে পেলাম না। এক মুহূর্ত দাঁড়িয়ে চিন্তা করলাম, আমি কি ভুল শুনছি?
আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনে এ অচিন শহরে দম ফেলার সময় নেই কারও। জীবনের সব সুখ-দুঃখ, হাসি–আনন্দ এবং মা–বাবা, আত্মীয়স্বজনের আদর-স্নেহ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করে আমরা প্রবাসে থাকি। এটা যে কত কষ্টের, একটু উপলব্ধি করলেই বোঝা যাবে।
এখানে আসার পর দেশের জন্য আমিও তো কারণে অকারণে এমন ডুকরে কেঁদেছি। কিন্তু সত্যিই পুরুষকণ্ঠের কান্না কানে আসছে, ভেসে আসছে। সাধারণত ছেলেরা এমন চিৎকার করে কাঁদে না। চারদিকে তাকিয়ে খুঁজতে চেষ্টা করি, কোন দিক থেকে আসছে এমন কান্নার শব্দ। নিশ্চয়ই কেউ অসুস্থ।
এদিকে সমানে ‘মা গো… আম্মা আম্মা’ বলে পুরুষকণ্ঠটি কেঁদেই চলছে। কান্নার শব্দ শুনে অনেকটা শব্দের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলাম। সামনে গিয়ে যা দেখলাম দৃশ্যটি দেখার মত আমি প্রস্তুত ছিলাম না।পরিচিত একটা মুখ। এক সাথে অনেকদিন কাজ করেছি।
কাজের এক কিনারায় বসে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদঁছে, তিনি মুঠোফোন হাতে নিয়ে কী যেন দেখছেন আর চিৎকার করে কাঁদছেন।৷ তাকে সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি জিজ্ঞেস করলাম ‘ভাই, কী হয়েছে?’ সে বললো আমার মা মারা গেছে।’
কথাটা শুনেই মনে হলো, গলার ভেতর শক্ত কিছু দলা পাকিয়ে আমার কণ্ঠ বন্ধ করে দিচ্ছে। আমি কাঁদতে চাইছি না, কিন্তু হাউমাউ করে কান্না চলে আসছে।
সে ভিডিও কলে মৃত মায়ের মুখ দেখছেন আর চিৎকার করে কাঁদছেন। কী করুণ সে দৃশ্য, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কষ্টকর।
সবাই প্রবাসীর মায়ের জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন উনাকে (মা) কে জান্নাত নসিব করেন। এবং প্রবাসি ভাইকে ধৈর্য শক্তি দিন।”
কমিউনিটিনিউজ/ এমএএইচ