আন্তর্জাতিক ডেস্ক, কমিউনিটি নিউজ:
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মুখ ঢেকে থাকেন সবাই। বাড়িতে কিংবা বাহিরে যেখানেই যেতে চান আপনার মাস্ক পড়তে হবে। নিজে আর পরিবারকে বাঁচাতে মুখ ঢেকেই জীবন আর জীবিকার কারণে সচল হয়ছে পৃথিবী। গৃহবন্দী প্রজন্ম ভ্রমণ করছে সড়কে, পানিপথ, আকাশপথ, যোগাযোগের সকল মাধ্যমেই। ফেসিয়াল মাস্ক সাময়িকভাবে নিরাপত্তা দিলেও আমাদের সমাজে ঝুঁকির অন্ত নেই।
বিশেষভাবে বিমান ভ্রমণে নিরাপত্তার বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে মাস্ক পরা অবস্থায় তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি ডিরেক্টরেট সংস্থা আশার বানী শুনিয়েছে।
তাদের দাবি, তাদের হাতের নতুন ফেসিয়াল রিকোগনিশন মাস্ক, অন্তরালেও চেহারা নির্ণয় করার ক্ষমতা দেখিয়েছে।
যেকোন নিরাপত্তার চেকপোষ্টে বারবার যাতে মাস্ক খোলার প্রয়োজন না হয় সে লক্ষ্যে সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ডিরেক্টরেট এর ২০২০ বার্ষিক বায়োমেট্রিক টেকনোলজির র্যালির অংশ হিসেবে এই পরীক্ষা চালায়।
মোট ৬০ টি দেশের ৫৮২ জন সেচছাসেবী এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেন। মাস্কসহ ও মাস্কছাড়া উভয় পদ্ধতিতেই পরীক্ষা হয় ট্রায়ালে।
আগের বছরগুলোতে ফেসিয়াল রিকোগনিশন নিয়ে কাজ করলেও এ বছরে প্রধান লক্ষ্য ছিল মাস্ক না খুলেও নির্ভুলভাবে চেহারা সনাক্তকরণ।
পরীক্ষার দ্বারা ফেসিয়াল রিকোগনিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিমানবন্দর বা যেকোনো নিরাপত্তা চেকপোষ্টে মাস্ক না খুলে নির্ভুলভাবে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নতুন দ্বার উন্মোচন হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও এর কার্যকরিতা শতভাগ নিশ্চিত কিনা তা তাদের নিজ প্রতিষ্ঠানই এখনো নিশ্চিত করেনি। তবে তাদের প্রত্যাশা এর দ্বারা ঝুঁকির হার অনেকটা কমে যাবে। পুরোপুরি নিশ্চিত করতে আমাদের এখনো তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ২০২০ বায়োমেট্রিক টেকনোলোজির চূড়ান্ত রির্পোটের দিকে। যা খুবই তাড়াতাড়ি প্রকাশ হবে।